বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্যের সচেতনতা বৃদ্ধির নিমিত্তে জনসচেতনতামূলক আলোচনা সভা ও র্যালি জামালপুর সদর উপজেলার, জামালপুর জিলা স্কুলে ১৫/১১/২০২২ খ্রি. তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো: আশরাফুল আলম, জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার, জামালপুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব অমলেশ চন্দ্র দে সরকার, জেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক, জামালপুর। এছাড়া বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন জনাব রফিকুল ইসলাম, স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক, জামালপুর সদর এবং জনাব এ কে এম আশরাফুজ্জামান, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ভাষা ও স্বাধীনতা সংগ্রামী মতি মিয়া ফাউন্ডেশন ও পাঠাগার, জামালপুর। এতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জনাব মো: ইমামুর রশিদ, সহারী প্রধান শিক্ষক, জামালপুর জিলা স্কুল, জামালপুর। উপস্থায়নায় ছিলেন জনাব মো: আব্দুল জলিল, সিনিয়র শিক্ষক, জামালপুর জিলা স্কুল, জামালপুর।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনাব অমলেশ চন্দ্র দে সরকার, জেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক, জামালপুর। তিনি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সকল শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনা প্রদান করেন এবং অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণে ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরেন। তিনি সকলকে নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানান।
জনাব রফিকুল ইসলাম, স্যানেটারী ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক, জামালপুর সদর জানান যে অনিরাপদ খাদ্যাভাস সকলকে ত্যাগ করতে হবে। স্ট্রিট ফুড, বার্গার ইত্যাদি ফ্যাট জাতীয় খাবারে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। এসকল খাবার অঙ্গ বিকলাঙ্গসহ শরীরের মারাত্বক ক্ষাতি করতে পারে।
জনাব এ কে এম আশরাফুজ্জামান বলেন, নিরাপদ খাদ্য সকলের অধিকার। সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি সকল দপ্তর এবং জনসাধারনকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বিভিন্ন বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকের অনিরাপদ খাদ্যের বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি উপস্থাপন করেন।
জনাব মো: আশরাফুল আলম, জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার, শিক্ষার্থীদের মাঝে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপদ রাখার পদ্ধতি, খাদ্য অনিরাপদ হওয়ার কারণসমূহ এবং অনিরাপদ খাদ্য গ্রহনে স্বাস্থ্য ঝুঁকি সমূহ আলোচনা করেন যা শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি ফুচকা, পানিপুরি, বেলপুরি, ললিপপ, আইসক্রিম জাতীয় খাবার যা শিশুরা বেশী পছন্দ করে, ঐ জাতীয় খাবার শিশূদের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা তিনি আলোচনার মাধ্যমে সকলকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন। এড প্রজক্টরের মাধ্যমে প্রদর্শনের ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের পূর্বের বদ্ধমূল ধারণা নতুনভাবে অভিযোজিত পরিবর্তিত হয়েছে বলে মতামত প্রদান করে। নিরাপদ খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও নাতিদীর্ঘ শ্রুতিমধুর ভাষণ দেন। পরিশেষে তিনি উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন যে খাবার খেলেই হবে না, খাবারটি নিরাপদ এবং পুষ্টিকর কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানের এই পর্যায়ে সমাপনী বক্তব্য রাখেন জনাব মো: ইমামুর রশিদ, সহকারী প্রধান শিক্ষক, জামালপুর জিলা স্কুল, জামালপুর। তিনি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং প্রধান শিক্ষকের অনুমতি সাপেক্ষে নিজের বিদ্যালয়ে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে যা যা করা প্রয়োজন তার পদক্ষেপ নিবেন বলে উল্লেখ করেন। তিনি নিরাপদ খাদ্য অফিসারকে আহ্বান জানান পরবর্তী সময়ে যেন স্কুলের সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই ধরণের কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আলোচনার উপর কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং উপস্থিত অতিথিরা সেরা দশ (১০) জনের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন।
উপস্থিত সকলকে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ লঘু সম্বলিত টি-শার্ট প্রদান করা হয় এবং র্যালি আয়োজন করা হয়। নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক বিভন্ন লিফলেট ও বিভিন্ন পোষ্টার বিতরণের মাধ্যমে কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS